রাফিউর রহমান,গাজীপুর সংবাদদাতা: ০৪-০৮-২০২০ ইং তারিখে কুদাব, মিরের বাজার এলাকার আইডিএলসি ফাইনান্সসিয়াল প্রতিষ্ঠানের অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী নামের একজন ব্যাক্তি বন্ধুদের সাথে নৌভ্রমনে বের হয়ে কোয়ের, পুবাইল, গাজিপুর এলাকায় বিরতির জন্য তাদের নৌকাটি ঘাটে ভিড়িয়ে নোঙর করা অবস্থায় অপর একটি নৌকা এসে ধাক্কা দিলে মিজানুর রহমান প্রতিবাদ জানালে ওই নৌকার কিছু ছেলে এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎই তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে মিজানুর রহমানকে তারা নৌকার বৈঠা ও বিভিন্ন লাঠিসোটা দিয় বেধরক পিটাতে পিটাইতে পানিতে ফেলে দেয় এবং পানিতে থাকা অবস্থায়ও অমানবিক নির্যাতন করে ও উপরর্যুপরি আঘাত করতে থাকে।
অতঃপর তাকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয় উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেলে। দুইদিন চিকিৎসার পরেও তার অবস্থা অতিমাত্রায় অবনতি হওয়ার কারণে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে বলে ওইখানে ভর্তি নেয়া হয়নি। পরবর্তীতে উনাকে জরুরী ভিত্তিতে উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ডাক্তাররা তাকে বর্তমানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রেখেছেন এবং ডাক্তাররা জানায় তার একটি কিডনি প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে, ফুসফুসের অবস্থাও বেশ আশংকাজনক এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয় আঘাতের কারণে।
এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে তার পরিবারের দাবি। পুবাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলার অাসামী ১) মোঃ কাকলি পিতাঃ আবদুর সাত্তার ২) হিমেল পিতাঃ মৃত দেলোয়ার ৩) ইমন পিতাঃ মৃত দেলোয়ার ৪) রাব্বি পিতাঃ সিদ্দিক, ৫) কবির হোসেন পিতাঃ শামসুল হক ৬) নজরুল ইসলাম পিতাঃ অাজিজ ৭) তাজু হোসেন পিতাঃ অাজিজ ৮) রায়হান পিতাঃ হুমায়ুন ৯) হাবিব পিতাঃ অজ্ঞাত ১০) সালমান পিতাঃ হযরত ১১) সজীব পিতাঃ শাহজাহান ১২) ইয়াসীন পিতাঃ ফারুক সহ আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে। মামলার নম্বর ০৪, তদন্ত কর্মকর্তার নাম এসে,অাই জাহাঙ্গীর আলম। তার পরিবার ও এলাকাবাসী সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানায়। আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। ওসি নাজমুল হক ভুঞা সাহেব জানান, আসামী ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।